পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন,রাষ্ট্রদূতের মারফত জানতে পেরেছি যে, লিবিয়ায় আরও ১৯ জন বাংলাদেশি অন্য একটি মাজরাতে আটক রয়েছেন। মুক্তিপণের জন্য তাদের ওপরও নির্মম অত্যাচার চলছে। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
আজ (৩ জুন) সন্ধ্যার দিকে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাবস্থা চলা এ দেশটি এখন মানব পাচারের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। হয়তো আরও অনেক বাংলাদেশি সেখানে আটক রয়েছেন। তবে আমরা এ ১৯ জনের কথা জানতে পেরেছি।
ড. মোমেন বলেন, সেখানকার একজন বাংলাদেশি আমাদের দূতাবাসকে জানিয়েছে, ত্রিপলী থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে একটি মাজরাতে এ ১৯ বাংলাদেশিকে মানবপাচারকারীরা মুক্তিপণের জন্য আটকে রেখে নির্যাতন চালাচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিশ্চয় পাচারকারীরা আটক বাংলাদেশিদের পরিবারের সঙ্গে টাকার জন্য দেন দরবার করছে। এসব পরিবারের উচিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করা। তা না হলে কারা তাদের কাছে টাকা চাইছে কারা এসব মানবপাচারে জড়িত সেসব কিছুই আমরা জানতে পারব না।
এ সময় তিনি আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারের কাছে থাকা তালিকা ধরে মানবপাচারকারী দালালদের পরিবারের সদস্যদের আটক করা উচিৎ। অন্যথায় লিবিয়া পাচার হয়ে আসা আরও বহু বাংলাদেশির লাশ দেখতে হতে পারে।