নিজস্ব সংবাদদাতা ::
ঢাকার দক্ষিণ মাতুয়াইল মেডিকেল রোড আবাসিক ও তুষার ধারা(শামীম বাগ) এলাকার সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ রাকীবকে গ্রেফতার না করায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে ও জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রাকিব কদমতলী থানার এজাহার ভুক্ত আসামি ও তার বিরুদ্ধে মাদক , চুরি , ছিনতাই , সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে । এলাকায় ছুরি, ছিনতাই ,সন্ত্রাসী , মাদক ও চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে । এমনকি এলাকার নামিদামি ,শিক্ষিত , ভদ্র ও বাড়ির মালিকদের গায়ে হাত দিতেও দ্বিধাবোধ করেনি। সে একের পর এক অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে । তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
গত গত ১৯/৬/২০১৫ ইং তারিখ রাত আনুমানিক আট ঘটিকার সময় সাপ্তাহিক মুক্ত বিকাশ পত্রিকার প্রতিনিধি গাজী আইমানুল নাফিজ জিদান অফিসিয়াল কাজ শেষে তুষার ধারা হয়ে বাসায় ফেরার পথে মোবারক মোল্লার বাড়ির
পূর্ব পাশে জামতলা নামক স্থানে রাস্তার উপর সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ রাকিব সহ সঙ্গী হ আরো চার-পাঁচজন জিদান কে পথ গতিরোধ করে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে এলো পাতারি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে জিদানের পকেটে থাকা পত্রিকার বিজ্ঞাপনের কালেকশনের ৩০,০০০ / টাকা নিয়ে যায়। জিদানকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে। সন্ত্রাসী রাকিবের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জিদানের কপালে, মাথায়, পিঠে, ঠোটের উপর, চোখের উপর, বুকে, হাতে, বাজূতে, প্রায় ১১ টি সেলাই করতে হয়েছে বলে হাসপাতাল ডাক্তার জানিয়েছেন। এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। শামীমবাগ এলাকার প্রতিষ্ঠাতা শামীম মিয়া সহ ১০-১২ জন জিদান কে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন। এবং তার খোঁজখবর নিয়েছে। এ ব্যাপারে তার বাবা সাংবাদিক আমির হোসেন কদমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন কিন্তু কদমতলী থানা পুলিশ সন্ত্রাসী ,চাঁদাবাজ রাকিব হোসেনকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি এতে করে এলাকার জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে।
- গত ১৬ ইং তারিখে এলাকার কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল মমিন পাটোয়ারীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পাটোয়ারী বিল্ডার্সের রাজমিস্ত্রী উজ্জ্বল ও সজীবকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে ধার্যকৃত চাঁদা নিয়ে যায় । বিষয়টি কন্টাক্টার হাসান জানতে পেরে সভাপতি আব্দুল মমিন পাটোয়ারীকে অবগত করলে , তিনি তাৎক্ষণিক শামীম বাগ কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি শামীম মিয়াকে জানালেন । পরে শামীম মিয়া ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ রাকিবকে ধরে উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দিয়ে কালভার্ট সংলগ্ন বিদ্যুতের পিলারের সাথে বেঁধে রাখে এবং পুলিশকে খবর দিলে কদমতলী থানা পুলিশের এস আই রাজিব সঙ্গীয় ফৌজ সহ রাকিবকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে প্রেরণ করেছিল। রাকিবের হাতে এলাকার বাড়ির মালিক , ব্যবসায়ী, ভাড়াটিয়া সহ প্রায় 70 /80 জন লোক লাঞ্ছিত , অপমান ও সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। এলাকাবাসী তার দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ।