দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে সরকারি কর্মকর্তাসহ যেকোনো ব্যক্তিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকতে পারবে উল্লেখ করে পর্যবেক্ষণসহ এ সংক্রান্ত মামলার রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চের স্বাক্ষরের পর বৃহস্পতিবার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এর আগে আলোচিত জিকে শামীমের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে
জামিন করানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুদকের তলবাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপার রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর ফলে তাকে দুদকের তলবাদেশে হাজির হতেই হবে বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।
ঘুষ নিয়ে জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ লোপাটসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। গত ২৯ অক্টোবর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত নোটিসে এ তলবাদেশ দেওয়া হয়।
তলবাদেশের চিঠিতে বলা হয়, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করে জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্ঞাত আয়বহিভর্‚ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। সে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ৪ নভেম্বর তাকে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
পরে ওই নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১ নভেম্বর রিট করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপা।