দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ হাজার ৮২৩ জনে। গত ৪৬ দিনের মধ্যে এটা একদিনে সবচেয়ে কম মৃত্যুর সংখ্যা। এর আগে গত ২ আগস্ট ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল। আগের দিন মঙ্গলবার ৪৩ জনের মৃত্যু হয়। সোমবার প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে ২৬ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৬১৫ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্ত হলো ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৭১ জনের। বুধবার বিকালে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছে আরও ২ হাজার ৩৭৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৩৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ১২ দশমিক ০৯ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বিশে^ মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৯৭ লাখ ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। আর এ মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে বিশে^ মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯ লাখ ৩৯ হাজার।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশে^র বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬৪ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৭ লাখ ৩৭ হাজার ৯৯১ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২ কোটি ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ২৩১ জন।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশে^র ২১৫টি দেশে ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ২ লাখ ১৯৭ জন। বিশে^ সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এ নিয়ে ৬৭ লাখ ৮৮ হাজার ১৪৭ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় এবং মৃতের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে আছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৫০ লাখ ২০ হাজার ৩৫৯ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৮২ হাজার ৯১ জন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় এবং মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪৩ লাখ ৮৪ হাজার ২৯৯ জন এবং আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ২০৭ জন। করোনায় মৃতের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৭১ হাজার ৬৭৮ জন। আর এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৪৮৭ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে রাশিয়া। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৪৯ জন। আর মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার ৭৮৫ জন। সুস্থতার দিক থেকেও প্রথম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র (৪০ লাখ ৬৮ হাজার ৮৬ জন), দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভারত (৩৯ লাখ ৪২ হাজার ৩৬০ জন) ও তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল (৩৬ লাখ ৭১ হাজার ১২৮ জন)। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যু হয়। এখন দেশে সংক্রমণের সপ্তম মাস চলছে। শুরুর দিকে সংক্রমণ ধীর থাকলেও মে মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। জুনে তা তীব্র আকার নেয়। জুলাইয়ের শুরু থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা কমতে থাকে। এ সময় পরীক্ষাও কম হয়। অবশ্য গত আগস্ট মাস থেকে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যার পাশাপাশি পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণ শনাক্তের হারও কমতে দেখা গেছে। তবে মৃত্যু সেভাবে কমছে না।