করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উত্তরণে কর্মপরিকল্পনা করছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। করোনার পরিপ্রেক্ষিতে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় বুধবার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য একথা বলেন।
মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে সভায় করোনা ভাইরাসের মহামারিজনিত কারণে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, এই ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, দারিদ্র্য বিমোচনে আগামীতে কীভাবে গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখা যায়- এসব বিষয়ে দপ্তর সংস্থার প্রধানরা মতামত দেন। প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, করোনায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে উত্তরণে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সরাসরি অবদান রাখছে। এই দুর্যোগে আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে আমরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া এই দুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত ছুটির পরিপ্রেক্ষিতে সদস্যরা ঋণ নিয়ে বিভিন্ন কাজে বিনিয়োগ করলেও বর্তমানে পণ্য উৎপাদনে নিয়োজিত সদস্যরা কাঁচামাল সরবরাহ ও উৎপাদিত পণ্য বিপণন করতে না পারায় সুফল পাচ্ছে না। ফলে, উপকারভোগী সদস্যদের একদিকে যেমন আগের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নেই, অন্যদিকে পিডিবিএফ এর অপর্যাপ্ত ঋণ তহবিলের কারণে নতুন করে এসব উপকারভোগীদের পুনরায় ঋণ দেওয়া সম্ভব হবে না। এ বিভাগের আওতায় প্রায় দেড় কোটি মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে সরাসরি জড়িত।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. রেজাউল আহসান বলেন, আমরা যেন থেমে না থাকি, সবাইকে ঋণ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। কোথাও যদি কোনো অসুবিধা হয় সঙ্গে সঙ্গে দপ্তর সংস্থার মাধ্যমে আমাকে জানাতে পারবেন।
সভায় মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আফজাল হোসেন, পিডিবিএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, এসএফডিএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এইচ এম আব্দুল্লাহ অংশ নেন।
